বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট বলছে, স্থল ও জলপথের ৩০টি রুট দিয়ে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ঢোকে বাংলাদেশে। আর এই রুটগুলো, দুই প্রতিবেশী দেশ ভারত ও মিয়ানমারের সাথে যুক্ত। বেসরকারি হিসেবে, দেশে এখন অবৈধ অস্ত্রের সংখ্যা ২ লাখের বেশি, যার তিনভাগের একভাগ ঢাকায়।
বিশ্লেষকরা বলছেন, আধিপত্য বিস্তার ও রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক খুনের ঘটনায় ব্যবহার হচ্ছে, এসব অবৈধ অস্ত্র। তারা বলছেন, সীমান্তে নজরদারি না বাড়ালে অস্ত্র প্রবেশ থামবে না। তবে, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর দাবি, অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার আগের চেয়ে নিয়ন্ত্রণে।
তথ্য ও অনুসন্ধান বলছে, বাংলাদেশে অবৈধ অস্ত্র আছে। মূলত, রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তারে, ২ ধরণের অস্ত্র ব্যবহার হয়। এক. স্থানীয়ভাবে তৈরি দেশীয় অস্ত্র। দুই. বিদেশী অস্ত্র, যেগুলো নানা রুট দিয়ে বাংলাদেশে ঢোকে।
বাংলাদেশে অস্ত্র প্রবেশের অন্যতম রুটগুলো হলো, টেকনাফ, কক্সবাজার ও উখিয়া সীমান্ত। মূলত অস্ত্রগুলো মিয়ানমার থেকে এইপথে আসে। এছাড়া, উত্তর বঙ্গের চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও হিলিসীমান্ত এলাকা দিয়ে অস্ত্রচোরাচালানের তথ্য পাওয়া যায়।দক্ষিণবঙ্গের সাতক্ষীরা ও যশোর সীমান্ত দিয়েও অস্ত্র ঢোকে বাংলাদেশে।
অবৈধ উপায়ে পাচার হয়ে আসা অস্ত্রগুলোও নানা হাত বদলে চলে যায়, দুষ্কৃতিকারীদের কাছে। লেনদেন হয় মোটা অঙ্কের টাকা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান খন্দকার ফারজানা রহমান বলছেন, বেশিরভাগ খুনই হয়, এসব অবৈধ অস্ত্র দিয়ে।